এজ অফ জেড: আপনার লেভেলের জন্য সেরা শত্রু কারা? স্মার্ট কৌশল জেনে নিন!

webmaster

에이지오브제트 적정 레벨의 적 선택 - Here are three detailed image generation prompts in English, designed to adhere to your guidelines:

আরে বন্ধুরা, Age of Z খেলছেন আর ভাবছেন কোন শত্রুর উপর ঝাঁপিয়ে পড়বেন? অনেক সময় দেখা যায়, ভুল শত্রু বেছে নিয়ে মূল্যবান সময় আর সম্পদ দুটোই নষ্ট করে ফেলছি আমরা, তাই না?

에이지오브제트 적정 레벨의 적 선택 관련 이미지 1

আমি নিজেও কতবার এমন ভুল করেছি! কিন্তু জেনে রাখুন, একটু বুদ্ধি খাটালেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। সঠিক লেভেলের শত্রু নির্বাচন আপনার গেমপ্লেকে কতটা বদলে দিতে পারে, সেটা আমি আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি। এর ফলে আপনার সেনাদের ক্ষতি কম হবে এবং পুরষ্কার পাবেন দ্বিগুণ। আজ আমি আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি কিছু দারুণ টিপস, যা আপনার Age of Z অভিযানকে আরও রোমাঞ্চকর আর ফলপ্রসূ করে তুলবে। চলুন, আর দেরি না করে এই বিষয়ে আরও গভীরভাবে জেনে নিই!

শত্রুদের রকমফের আর তাদের থেকে কী কী পাই!

বন্ধুরা, Age of Z-তে শুধু জম্বি মারলেই হবে না, কোন জম্বি মারলে কী লাভ, সেটা বোঝাটা খুব জরুরি। আমি তো প্রথম দিকে শুধু যে সামনে পেতাম, তাকেই আক্রমণ করতাম। কিন্তু পরে যখন দেখলাম, নির্দিষ্ট ধরনের শত্রুদের মারলে আমি আমার দরকারি জিনিসগুলো দ্রুত জোগাড় করতে পারছি, তখন আমার গেমপ্লের ধরনটাই বদলে গেল। সাধারণ জম্বি থেকে শুরু করে বিশেষ ধরনের জম্বি, এমনকি বিভিন্ন জন্তুও আছে, যারা একেক রকম পুরষ্কার দেয়। ধরুন, আপনার খাদ্যের ঘাটতি আছে, তাহলে আপনি সেই ধরনের জম্বি খুঁজবেন যারা খাদ্য বেশি দেয়। আবার, যদি আপনার ইস্পাত দরকার হয়, তাহলে অন্য ধরনের শত্রুর দিকে মনোযোগ দিতে হবে। এটা অনেকটা বাজারের মতো, কোন দোকানে কোন জিনিস ভালো পাওয়া যায়, সেটা জানা থাকলে আপনার সময় বাঁচে আর কেনাকাটাও ভালো হয়। আমার মনে আছে, একবার আমি কয়েকদিন ধরে শুধু ভুল শত্রুদের মেরে গেছি আর আমার প্রয়োজনীয় সম্পদগুলো মোটেও বাড়ছিল না। শেষে যখন বুঝলাম, তখন থেকে হিসাব করে মারতে শুরু করলাম, আর বিশ্বাস করুন, আমার বেসের উন্নতি অনেক দ্রুত হতে থাকলো। তাই, শুধু লেভেল দেখে নয়, শত্রুর ধরন এবং তাদের থেকে কী ড্রপ হয়, সেটাও মাথায় রাখা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এটা আপনার সময় ও সৈনিক উভয়ই বাঁচাবে।

সাধারণ জম্বি ও তাদের গুপ্তধন

সাধারণ জম্বিরাই আমাদের মূল প্রতিপক্ষ, তাই না? এদেরকে হারানো তুলনামূলকভাবে সহজ, বিশেষ করে প্রথম দিকের লেভেলগুলোতে। এদের কাছ থেকে আমরা মূলত EXP (অভিজ্ঞতা পয়েন্ট), কিছু সাধারণ রিসোর্স যেমন খাদ্য, তেল এবং মাঝে মাঝে কিছু সিলভার পাই। আমি যখন খেলা শুরু করি, তখন দিনের বেশিরভাগ সময়ই এদের মেরে মেরে আমার কমান্ডার লেভেল বাড়াতাম। আমার কাছে মনে হয়েছিল, যত বেশি EXP পাবো, তত দ্রুত নতুন দক্ষতা আনলক করতে পারবো। এদের মারলে সৈন্যদের ক্ষয়ক্ষতিও কম হয়, যা নতুন খেলোয়াড়দের জন্য খুব উপকারী। তবে একটা কথা মনে রাখবেন, উচ্চ স্তরের সাধারণ জম্বিরাও কম শক্তিশালী নয়! তাদের থেকেও ভালো পরিমাণ রিসোর্স এবং EXP পাওয়া যায়, যা আপনার বেস দ্রুত আপগ্রেড করতে সাহায্য করে। তবে অবশ্যই, আপনার সৈন্যদের শক্তি এবং তাদের লেভেলের সাথে সামঞ্জস্য রেখে সাধারণ জম্বি নির্বাচন করা উচিত। আমি তো প্রায়ই দেখি নতুন প্লেয়াররা নিজের ক্ষমতার থেকে বেশি লেভেলের জম্বি মেরে অপ্রয়োজনীয়ভাবে সৈন্য হারায়, যেটা একেবারেই কাম্য নয়। তাই, শুরুটা ছোট থেকে করুন এবং ধীরে ধীরে বড় সাধারণ জম্বির দিকে যান।

বিশেষ ধরনের শত্রু এবং তাদের পুরষ্কার

Age of Z-তে শুধু সাধারণ জম্বিই নয়, আরও অনেক বিশেষ ধরনের শত্রু আছে। এদের মধ্যে রয়েছে Infected Bear, Infected Wolf, এবং আরও শক্তিশালী Boss-জম্বি। এই বিশেষ শত্রুদের মারার অভিজ্ঞতাটা একদমই আলাদা। এরা সাধারণ জম্বিদের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী হয় এবং এদেরকে হারাতে কৌশল ও শক্তিশালী সৈন্যদল লাগে। কিন্তু এদের কাছ থেকে যে পুরষ্কার পাওয়া যায়, তা সত্যিই অসাধারণ। আমি একবার একটা Infected Bear মেরেছিলাম এবং এর থেকে যে পরিমাণে ইস্পাত আর স্পিড আপ আইটেম পেয়েছিলাম, তা দেখে আমি তো অবাক হয়ে গিয়েছিলাম! Boss-জম্বিরা তো আরও বড়সড় পুরষ্কার দেয়, যেমন শক্তিশালী সরঞ্জাম তৈরির উপকরণ, রেয়ার হিরো শ্যাড এবং মূল্যবান গতিবর্ধক। তবে একটা কথা, এই বিশেষ শত্রুদের উপর আক্রমণ করার আগে অবশ্যই নিজের সৈন্যবল পরীক্ষা করে নেবেন। আমি নিজেও ভুল করে কয়েকবার শক্তিশালী Boss-কে আক্রমণ করে প্রচুর সৈন্য হারিয়েছিলাম, যা আমার জন্য একটা বড় শিক্ষা ছিল। আপনার জোটের বন্ধুদের সাথে মিলেমিশে এদের আক্রমণ করলে সাফল্যের সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায় এবং পুরষ্কারও সবাই মিলে উপভোগ করতে পারবেন।

আপনার সেনাদলের ক্ষমতা যাচাই: শক্তি ও বিন্যাস

সত্যি বলতে কী, যে কোনো শত্রুর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ার আগে আপনার নিজের সেনাদল কতটা শক্তিশালী, সেটা ভালোভাবে বুঝে নেওয়াটা খুব দরকারি। আমি নিজের অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি, অনেক সময় তাড়াহুড়ো করে শত্রুর লেভেল না দেখেই আক্রমণ করে দিই, আর ফলস্বরূপ আমার অনেক সৈনিক মারা পড়ে, আহত হয়। এটা শুধু হতাশারই কারণ নয়, তাদের সুস্থ করতে অনেক মূল্যবান সম্পদও খরচ হয়। আপনার সামরিক শক্তির সঠিক মূল্যায়ন আপনাকে অপ্রয়োজনীয় ক্ষতি থেকে বাঁচিয়ে দেবে। আপনার সৈন্যদের মোট কম্ব্যাট পাওয়ার (CP) কত, কোন ধরনের সৈন্য আপনার কাছে বেশি আছে (ইনফ্যান্ট্রি, র্যাঞ্জার, ভেহিকেল), তাদের লেভেল কত – এই সব কিছু বিস্তারিতভাবে পর্যালোচনা করা উচিত। আমার মনে আছে, একবার আমি শুধু ‘CP’ বেশি দেখে একটা শক্তিশালী শত্রুকে আক্রমণ করে বসলাম, কিন্তু পরে দেখলাম আমার সৈন্যদের বিন্যাস ঠিক ছিল না, যার কারণে বড়সড় ধাক্কা খেলাম। তাই, আপনার সৈন্যদের শক্তি শুধু সংখ্যায় নয়, তাদের গুণগত মান এবং বিন্যাসের উপরও নির্ভর করে। সঠিক পরিকল্পনা ছাড়া বড় শত্রুর বিরুদ্ধে যাওয়া মানে নিজেই বিপদ ডেকে আনা।

আপনার কম্ব্যাট পাওয়ার (CP) বোঝা

আপনার কম্ব্যাট পাওয়ার বা CP হলো আপনার মোট সামরিক শক্তির একটি সূচক। এর মধ্যে আপনার বেসের প্রতিরক্ষা, গবেষণা, হিরো এবং অবশ্যই আপনার সৈন্যদের মোট শক্তি অন্তর্ভুক্ত। অনেকেই শুধু এই সংখ্যাটা দেখেই শত্রুদের বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। আমি প্রথম দিকে এই ভুলটাই করতাম। ভাবতাম, আমার CP বেশি মানেই আমি যে কোনো শত্রুকে হারাতে পারবো। কিন্তু পরে দেখলাম, শুধুমাত্র CP দেখে সিদ্ধান্ত নিলে অনেক সময় ভুল হয়। উদাহরণস্বরূপ, আপনার CP বেশি হতে পারে, কিন্তু আপনার সৈন্যদলে যদি নির্দিষ্ট ধরনের শত্রুদের বিরুদ্ধে দুর্বল সৈন্যরা বেশি থাকে, তাহলে আপনি সহজে হেরে যেতে পারেন। তাই, CP শুধু একটা সংখ্যা নয়, এর ভেতরের বিন্যাসটা বোঝা জরুরি। আমার নিজের অভিজ্ঞতা বলে, আপনার হিরোদের দক্ষতা, গবেষণা এবং আপনার প্রযুক্তির স্তরও আপনার আসল কম্ব্যাট পাওয়ারকে অনেক প্রভাবিত করে। উচ্চ CP থাকা সত্ত্বেও, যদি আপনার সৈন্যদের লেভেল কম হয় বা তাদের ইকুইপমেন্ট দুর্বল হয়, তাহলে আপনি আশা অনুযায়ী ফল নাও পেতে পারেন। তাই, শুধু সংখ্যায় মুগ্ধ না হয়ে, এর পেছনের কারণগুলো বিশ্লেষণ করুন।

সর্বোত্তম আক্রমণের জন্য সৈন্যের ভারসাম্য

সঠিক ধরনের সৈন্যদের সঠিক অনুপাতে ব্যবহার করাটা Age of Z-তে সাফল্যের চাবিকাঠি। এখানে ইনফ্যান্ট্রি, র্যাঞ্জার এবং ভেহিকেল – এই তিন ধরনের সৈন্য আছে, যাদের একেকজনের একেক রকম সুবিধা এবং অসুবিধা রয়েছে। ইনফ্যান্ট্রি সাধারণত সামনের সারিতে থাকে এবং ভালো প্রতিরক্ষা দেয়, র্যাঞ্জাররা দূর থেকে আক্রমণ করে এবং ভেহিকেল দ্রুত এবং উচ্চ আক্রমণ ক্ষমতা সম্পন্ন হয়। আমি আমার বেসে সব সময় চেষ্টা করি এই তিন ধরনের সৈন্যদের একটা ভালো ভারসাম্য বজায় রাখতে। এর ফলে আমি বিভিন্ন ধরনের শত্রুদের বিরুদ্ধে কার্যকরী আক্রমণ করতে পারি। ধরুন, কিছু শত্রু আছে যারা ভেহিকেলদের প্রতি দুর্বল, আবার কিছু আছে যারা ইনফ্যান্ট্রির জন্য সহজ লক্ষ্য। আপনি যদি শুধুমাত্র এক ধরনের সৈন্য তৈরি করতে থাকেন, তাহলে অন্য ধরনের শত্রুদের বিরুদ্ধে আপনি পিছিয়ে পড়বেন। আমার মনে আছে, এক বন্ধুর বেস শুধু ভেহিকেল দিয়ে ভর্তি ছিল, আর সে যখন ইনফ্যান্ট্রি নির্ভর শত্রুর মুখে পড়ল, তখন তার অবস্থা খারাপ হয়ে গিয়েছিল। তাই, আপনার শত্রুদের দুর্বলতা বুঝে সেই অনুযায়ী সৈন্যদের বিন্যাস করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ। এটা আপনার ক্ষয়ক্ষতি কমাবে এবং জেতার সম্ভাবনা বাড়াবে।

Advertisement

সম্পদ আহরণ: স্মার্ট টার্গেটিংয়ের মাধ্যমে

সম্পদ আহরণ হলো Age of Z-এর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কিন্তু শুধু সম্পদ সংগ্রহের জন্য অভিযান চালালেই হবে না, কোন শত্রুকে মারলে আপনার কোন সম্পদ বেশি দরকার, সেটা হিসাব করে আক্রমণ করা উচিত। আমি তো এই ব্যাপারটা অনেক দেরিতে বুঝেছিলাম। আমার বেসে যখন ইস্পাতের অভাব দেখা দিত, তখন আমি Randomলি যে কোনো জম্বিকে আক্রমণ করতাম। কিন্তু যখন আমি শিখলাম যে নির্দিষ্ট কিছু জম্বি ইস্পাত বেশি ড্রপ করে, তখন আমার ইস্পাতের স্টক দ্রুত বাড়তে শুরু করল। এটা অনেকটা চাষ করার মতো; কোন ফসল কোন মাটিতে ভালো হয়, সেটা জানা থাকলে ফলন বেশি হয়। আপনার বেসের উন্নতির জন্য খাদ্য, তেল, ইস্পাত, বিরল খনিজ – এই সব কিছুরই দরকার হয়। তাই, যখনই কোনো নির্দিষ্ট সম্পদের অভাব বোধ করবেন, তখনই সেই ধরনের শত্রুদের খুঁজে বের করুন যারা সেই সম্পদ বেশি পরিমাণে দেয়। এটা আপনার সময় বাঁচাবে এবং আপনি আপনার বেসকে আরও দ্রুত আপগ্রেড করতে পারবেন। এই স্মার্ট টার্গেটিং কৌশল আমাকে গেমের অনেক ধাপ এগিয়ে যেতে সাহায্য করেছে, আর আমি জানি আপনারাও এর থেকে অনেক উপকৃত হবেন।

নির্দিষ্ট সম্পদের জন্য লক্ষ্য নির্ধারণ

খাদ্য, তেল, ইস্পাত, বিরল খনিজ – এই চারটি প্রধান সম্পদ Age of Z-তে আপনার বেস এবং সৈন্যবাহিনীর উন্নতির জন্য অত্যাবশ্যক। আপনি যখনই কোনো নির্দিষ্ট সম্পদের অভাব অনুভব করবেন, তখন সেই ধরনের শত্রুদের লক্ষ্য করা উচিত যারা সেই সম্পদ বেশি পরিমাণে দেয়। উদাহরণস্বরূপ, কিছু ইনফেস্টেড জম্বি আছে যারা খাদ্যের জন্য ভালো, আবার কিছু আছে যারা ইস্পাত বা তেল বেশি দেয়। আমি সাধারণত আমার বেসের রিসোর্স ট্যাবে নজর রাখি এবং যে সম্পদের পরিমাণ কমে যায়, সেই সম্পদের জন্য নির্দিষ্ট শত্রুদের খুঁজতে বের হই। এটা অনেকটা টার্গেট কিলিংয়ের মতো, যেখানে আপনি জানেন আপনার লক্ষ্য কী এবং সে কী দিতে পারে। আমার মনে আছে, একবার আমার প্রচুর তেল দরকার ছিল একটা বড় আপগ্রেডের জন্য, তখন আমি শুধু তেলের জন্য বিশেষ কিছু জম্বিদের উপর ফোকাস করেছিলাম। এতে আমার তেল দ্রুত পূরণ হয়েছিল এবং আমি আপগ্রেডটা সময়মতো করতে পেরেছিলাম। এই কৌশলটি শুধু কার্যকরই নয়, এটি আপনার সময়কেও অপ্টিমাইজ করে।

ইভেন্ট-ভিত্তিক শত্রু শিকার

Age of Z-তে নিয়মিত বিভিন্ন ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হয়, যা আমাদের জন্য বাড়তি পুরষ্কার জেতার দারুণ সুযোগ নিয়ে আসে। এই ইভেন্টগুলোর সময় কিছু বিশেষ ধরনের শত্রু দেখা যায়, যাদেরকে মারলে ইভেন্টের পয়েন্ট পাওয়া যায় এবং বিশেষ পুরষ্কার জেতা যায়। আমি তো সব সময় ইভেন্টগুলোতে নজর রাখি এবং যখনই কোনো ভালো ইভেন্ট আসে, তখন সেই ইভেন্টের শত্রুদের মারতে লেগে পড়ি। এর ফলে এক ঢিলে দুই পাখি মারা যায় – একদিকে নিয়মিত সম্পদ সংগ্রহ হয়, অন্যদিকে ইভেন্টের পুরষ্কারও জেতা যায়। আমার অভিজ্ঞতা বলে, ইভেন্টের সময় যে শত্রুগুলো আসে, তারা সাধারণত সাধারণ শত্রুদের চেয়ে বেশি পুরষ্কার এবং ইভেন্ট পয়েন্ট দেয়। তাই, ইভেন্ট ক্যালেন্ডার চেক করা এবং সেই অনুযায়ী আপনার আক্রমণের পরিকল্পনা করাটা খুবই বুদ্ধিমানের কাজ। অনেক সময় এমনও হয় যে, ইভেন্টের বিশেষ শত্রুদের মারলে আপনি এমন কিছু রেয়ার আইটেম পেয়ে যেতে পারেন, যা সাধারণত অন্য কোনো উপায়ে পাওয়া বেশ কঠিন। তাই, ইভেন্টগুলোকে কোনোভাবেই হাতছাড়া করবেন না।

ক্ষয়ক্ষতি কমানো এবং দক্ষতা বৃদ্ধি

আমি তো অনেকবার এই ভুল করেছি – কোনো শত্রুকে আক্রমণ করার আগে ঠিকমতো খোঁজ না নিয়েই ঝাঁপিয়ে পড়েছি। আর ফলস্বরূপ, আমার প্রচুর সৈন্য আহত হয়েছে, যাদের সুস্থ করতে অনেক হাসপাতাল বেড এবং রিসোর্স নষ্ট হয়েছে। এটা সত্যিই একটা খারাপ অভিজ্ঞতা, কারণ সৈন্যদের সুস্থ করার পেছনে যে সময় আর সম্পদ যায়, সেটা দিয়ে আমি অন্য অনেক কাজ করতে পারতাম। তাই, শত্রুর ক্ষয়ক্ষতি কমানো এবং আপনার অভিযানের দক্ষতা বাড়ানোর জন্য কিছু বিষয় মাথায় রাখা উচিত। প্রতিটি আক্রমণের আগে শত্রুর দুর্বলতা, তাদের শক্তি এবং তাদের সৈন্যদের বিন্যাস সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিন। আমি তো সবসময় আক্রমণের আগে শত্রুকে ‘স্কাউট’ করি। এর ফলে আমি শত্রুর ক্ষমতা সম্পর্কে একটা স্পষ্ট ধারণা পেয়ে যাই এবং সেই অনুযায়ী আমার সৈন্যদের বিন্যাস করতে পারি। এটা শুধু আপনার সৈন্যদের জীবনই বাঁচায় না, আপনার মূল্যবান সময় এবং সম্পদও রক্ষা করে। মনে রাখবেন, বুদ্ধিমানের মতো লড়াই করা মানে শুধু জেতা নয়, কম ক্ষতিতে জেতা।

যুদ্ধপূর্ব স্কাউটিং এবং বিশ্লেষণ

যেকোনো আক্রমণের আগে শত্রুকে স্কাউট করাটা হলো প্রথম এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। আমি এটা আমার জীবনের একটা অংশ করে নিয়েছি Age of Z খেলার সময়। স্কাউট করার মাধ্যমে আপনি শত্রুর সৈন্যদের ধরন, তাদের সংখ্যা, তাদের হিরো, এবং তাদের বেসের প্রতিরক্ষা সম্পর্কে একটা পরিষ্কার ধারণা পাবেন। এর ফলে আপনি আপনার সৈন্যদের সেই অনুযায়ী সাজাতে পারবেন এবং শত্রুর দুর্বলতার সুযোগ নিতে পারবেন। আমার মনে আছে, একবার আমি একটা শক্তিশালী শত্রুর বেস আক্রমণ করার পরিকল্পনা করছিলাম। প্রথমে স্কাউট করে দেখলাম, তার বেসে ইনফ্যান্ট্রি সৈন্য বেশি, যারা ভেহিকেলদের প্রতি দুর্বল। তখন আমি আমার ভেহিকেল সৈন্যদের বেশি করে নিয়ে আক্রমণ করলাম এবং কম ক্ষয়ক্ষতিতে তাকে হারিয়ে দিলাম। যদি আমি স্কাউট না করতাম, তাহলে হয়তো অনেক সৈন্য হারাতাম। স্কাউটিং আপনাকে আপনার জেতার সম্ভাবনা বাড়াতে এবং সৈন্যদের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে সাহায্য করে। এটা একটু সময়সাপেক্ষ মনে হতে পারে, কিন্তু এর সুফল অনেক বেশি।

পুরষ্কার বনাম চিকিৎসা খরচ

Age of Z-তে প্রতিটি আক্রমণের আগে আপনাকে একটা বিষয় ভালোভাবে ভাবতে হবে – আপনি যে শত্রুকে আক্রমণ করছেন, তাকে হারানোর পর আপনি যে পুরষ্কার পাবেন, সেটা আপনার সৈন্যদের সুস্থ করার পেছনে যে খরচ হবে, তার চেয়ে বেশি কিনা। অনেক সময় আমরা বড় পুরষ্কারের লোভে বেশি শক্তিশালী শত্রুদের আক্রমণ করি এবং প্রচুর সৈন্য হারাই। তারপর যখন তাদের সুস্থ করতে যাই, তখন দেখি যে পুরষ্কার পেয়েছি, তার চেয়ে বেশি খরচ হয়ে গেছে! আমি নিজেও এই ফাঁদে অনেকবার পড়েছি। এটা খুবই হতাশার, যখন আপনার মূল্যবান সম্পদ সৈন্যদের চিকিৎসার পেছনে চলে যায়। তাই, আক্রমণ করার আগে সবসময় একটা হিসাব কষে নেবেন। আপনার সৈন্যের শক্তি এবং সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি অনুমান করুন। যদি দেখেন যে পুরষ্কারের চেয়ে চিকিৎসা খরচ বেশি হবে, তাহলে হয়তো সেই শত্রুকে এড়িয়ে চলাই ভালো। অথবা, আপনার জোটের বন্ধুদের সাথে মিলেমিশে আক্রমণ করুন, যাতে ক্ষয়ক্ষতি ভাগাভাগি হয়ে যায় এবং পুরষ্কারও সবাই পায়।

Advertisement

জোটের ভূমিকা: একসাথে শিকার

Age of Z-তে একা একা লড়াই করাটা খুব কঠিন, বিশেষ করে যখন আপনি উচ্চ স্তরের শত্রুদের মুখোমুখি হন। আমি তো প্রথম দিকে শুধু নিজেই সব করতাম, কিন্তু যখন আমার একটা ভালো জোটে যোগ দিলাম, তখন আমার গেমপ্লেটাই বদলে গেল। জোটের সাথে মিলেমিশে কাজ করা মানে আপনার শক্তি অনেক গুণ বেড়ে যাওয়া। একসাথে বড়সড় Boss-জম্বিদের আক্রমণ করা, একে অপরের সম্পদ রক্ষা করা, এমনকি সৈন্যদের দ্রুত ট্রেনিং দিতে সাহায্য করা – এই সব কিছুই জোটের মাধ্যমে সম্ভব। আমার মনে আছে, আমাদের জোট যখন একসাথে একটা Level 40 Boss-জম্বিকে আক্রমণ করেছিল, তখন আমরা সবাই মিলেমিশে একটা দুর্দান্ত পরিকল্পনা তৈরি করেছিলাম এবং সফল হয়েছিলাম। এর ফলে আমরা প্রত্যেকেই প্রচুর পুরষ্কার পেয়েছিলাম এবং আমাদের জোটের শক্তিও বেড়েছিল। জোটের সদস্যরা একে অপরের সাথে টিপস ও কৌশল শেয়ার করে, যা নতুন খেলোয়াড়দের জন্য খুবই উপকারী। তাই, যদি আপনি এখনো কোনো জোটে যোগ না দিয়ে থাকেন, তাহলে এখনই একটা ভালো জোটে যোগ দিন। দেখবেন, আপনার Age of Z-এর অভিজ্ঞতা অনেক বেশি আনন্দদায়ক এবং ফলপ্রসূ হয়ে উঠবে।

বড় লক্ষ্যগুলির জন্য সমন্বিত আক্রমণ

জোটের সবচেয়ে বড় সুবিধাগুলোর মধ্যে একটি হলো শক্তিশালী শত্রুদের বিরুদ্ধে সমন্বিত আক্রমণ করা। Level 25-এর উপরের Boss-জম্বি বা শক্তিশালী Infected Beast-দের একা হারানো প্রায় অসম্ভব। কিন্তু যখন আপনি আপনার জোটের বন্ধুদের সাথে মিলেমিশে আক্রমণ করেন, তখন সেই অসম্ভব কাজও সম্ভব হয়ে ওঠে। আমি প্রায়ই আমার জোটের সাথে মিলেমিশে বড় বড় শত্রুদের আক্রমণ করি। আমরা আক্রমণের আগে চ্যাট গ্রুপে আলোচনা করি, কে কখন আক্রমণ করবে, কোন ধরনের সৈন্য পাঠাবে – এই সব কিছু নিয়ে একটা পরিষ্কার পরিকল্পনা তৈরি করি। এর ফলে আমাদের আক্রমণে সাফল্যের হার অনেক বেশি থাকে এবং আমরা কম ক্ষয়ক্ষতিতে বেশি পুরষ্কার জিততে পারি। আমার নিজের অভিজ্ঞতা বলে, একসাথে কাজ করলে শুধু যে বড় শত্রুদের হারানো যায় তা নয়, এর মাধ্যমে জোটের সদস্যদের মধ্যে একটা দারুণ বোঝাপড়াও তৈরি হয়। এই সমন্বিত আক্রমণগুলো আমাকে গেমের অনেক কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সাহায্য করেছে।

পুরষ্কার এবং জ্ঞানের আদান-প্রদান

জোটের মধ্যে শুধু একসাথে লড়াই করাই নয়, পুরষ্কার এবং জ্ঞানের আদান-প্রদানও খুব গুরুত্বপূর্ণ। যখন আমরা জোটের সাথে মিলেমিশে কোনো শক্তিশালী শত্রুকে হারাই, তখন পুরষ্কারগুলো জোটের সকল সদস্যের মধ্যে বিতরণ করা হয়। এর ফলে সবাই উপকৃত হয়, এমনকি যারা সরাসরি আক্রমণে অংশ নিতে পারেনি, তারাও কিছু না কিছু পুরষ্কার পায়। আমার মনে আছে, একবার একটা ইভেন্টে আমি খুব একটা সক্রিয় থাকতে পারিনি, কিন্তু আমার জোটের বন্ধুরা অনেক কষ্ট করে ইভেন্টের শত্রুদের মেরেছিল। পরে আমি তাদের কাছ থেকে ইভেন্টের পুরষ্কারের একটা অংশ পেয়েছিলাম, যা আমার জন্য খুব সহায়ক হয়েছিল। এছাড়া, জোটের সদস্যরা একে অপরের সাথে গেমের টিপস, কৌশল, নতুন আপডেট সম্পর্কে তথ্য শেয়ার করে। এর ফলে সবাই একসাথে শিখতে পারে এবং নিজেদের দক্ষতা বাড়াতে পারে। আমি তো আমার জোটের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছি, যা আমাকে একজন ভালো খেলোয়াড় হতে সাহায্য করেছে।

উচ্চ-স্তরের শত্রুদের জন্য উন্নত কৌশল

যখন আপনি Age of Z-তে উচ্চ স্তরে পৌঁছাবেন, তখন আপনার শত্রুরাও অনেক বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠবে। সাধারণ কৌশল দিয়ে তখন তাদের হারানো বেশ কঠিন হয়ে পড়ে। তখন দরকার হয় আরও উন্নত এবং সূক্ষ্ম কিছু কৌশল। আমি যখন প্রথমবার Level 30-এর উপরের শত্রুদের মুখোমুখি হলাম, তখন বুঝতে পারলাম যে আমার পুরোনো কৌশলগুলো আর কাজ করছে না। তখন আমাকে নতুন করে ভাবতে হলো, নতুন কৌশল শিখতে হলো। এর মধ্যে রয়েছে আপনার কমান্ডারদের দক্ষতা সঠিকভাবে ব্যবহার করা, সঠিক হিরোদের নির্বাচন করা এবং বিভিন্ন ধরনের বুস্ট ও বাফ ব্যবহার করা। উচ্চ-স্তরের শত্রুদের হারানো মানে শুধু বড়সড় পুরষ্কার জেতা নয়, এর মাধ্যমে আপনার দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতারও উন্নতি হয়। আমার মনে আছে, একটা Boss-জম্বিকে হারানোর জন্য আমি প্রায় এক সপ্তাহ ধরে পরিকল্পনা করেছিলাম, বিভিন্ন কৌশল প্রয়োগ করেছিলাম। অবশেষে যখন তাকে হারাতে পারলাম, তখন যে আনন্দটা হয়েছিল, তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। তাই, চ্যালেঞ্জ নিতে ভয় পাবেন না, বরং নতুন কৌশল শিখতে থাকুন।

কমান্ডার দক্ষতা এবং হিরো নির্বাচন

আপনার কমান্ডার এবং হিরোরা হলো আপনার সৈন্যদের সবচেয়ে শক্তিশালী সম্পদ। তাদের সঠিক ব্যবহার উচ্চ-স্তরের শত্রুদের বিরুদ্ধে জয়ের জন্য অত্যাবশ্যক। প্রতিটি কমান্ডারের নিজস্ব দক্ষতা সেট রয়েছে যা যুদ্ধক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রভাব ফেলে। কিছু কমান্ডার আক্রমণে পারদর্শী, আবার কিছু প্রতিরক্ষায়। আমার অভিজ্ঞতা বলে, শত্রুর ধরন অনুযায়ী সঠিক কমান্ডারকে নির্বাচন করাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যেমন, যদি আপনি একটি শক্তিশালী প্রতিরক্ষা-ভিত্তিক শত্রুকে আক্রমণ করেন, তাহলে এমন একজন কমান্ডারকে বেছে নেওয়া উচিত যার আক্রমণ-সম্পর্কিত দক্ষতা বেশি। হিরোদের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। তাদের বিশেষ দক্ষতাগুলো (যেমন: সৈন্যদের স্বাস্থ্য বাড়ানো, আক্রমণের শক্তি বাড়ানো) যুদ্ধক্ষেত্রে বিশাল পার্থক্য গড়ে তোলে। আমি তো সব সময় চেষ্টা করি আমার শক্তিশালী হিরোদের সর্বোচ্চ লেভেলে রাখতে এবং তাদের ইকুইপমেন্টগুলোকেও আপগ্রেড করতে। এর ফলে তারা যুদ্ধক্ষেত্রে আরও বেশি কার্যকর হয়ে ওঠে। মনে রাখবেন, সঠিক হিরো এবং কমান্ডারের সমন্বয় আপনার জেতার সম্ভাবনা অনেক বাড়িয়ে দেবে।

বাফ এবং বুস্টের কার্যকর ব্যবহার

Age of Z-তে বিভিন্ন ধরনের বাফ (Buff) এবং বুস্ট (Boost) আছে, যা আপনাকে যুদ্ধক্ষেত্রে বাড়তি সুবিধা দেয়। এর মধ্যে রয়েছে আক্রমণ বাড়ানোর বুস্ট, প্রতিরক্ষা বাড়ানোর বুস্ট, মার্চ স্পিড বুস্ট এবং আরও অনেক কিছু। উচ্চ-স্তরের শত্রুদের বিরুদ্ধে লড়াই করার সময় এই বাফ এবং বুস্টগুলো খুবই কার্যকর ভূমিকা পালন করে। আমি যখন কোনো শক্তিশালী Boss-জম্বিকে আক্রমণ করি, তখন সব সময় আমার অ্যাটাক বুস্টগুলো ব্যবহার করি। এর ফলে আমার সৈন্যদের আক্রমণের ক্ষমতা অনেক বেড়ে যায় এবং শত্রুকে দ্রুত হারানো যায়। আমার মনে আছে, একবার একটা কঠিন ইভেন্ট ছিল, যেখানে খুব শক্তিশালী শত্রুদের হারাতে হচ্ছিল। আমি তখন আমার সব অ্যাটাক এবং ডিফেন্স বুস্ট ব্যবহার করে সেই ইভেন্টটা শেষ করেছিলাম। যদি আমি সেই বুস্টগুলো ব্যবহার না করতাম, তাহলে হয়তো ইভেন্টটা শেষ করতে পারতাম না। তবে একটা কথা, এই বুস্টগুলো সীমিত পরিমাণে থাকে, তাই কখন এবং কীভাবে এগুলো ব্যবহার করবেন, সেটা বুদ্ধিমানের মতো সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। অপ্রয়োজনীয়ভাবে বুস্ট নষ্ট করবেন না, শুধুমাত্র যখন খুব দরকার, তখনই ব্যবহার করুন।

Advertisement

শত্রু নির্বাচনের সাধারণ ভুলগুলো এড়িয়ে চলুন

আমরা সবাই গেম খেলতে গিয়ে ভুল করি, তাই না? আমিও অনেকবার করেছি। কিন্তু কিছু ভুল আছে যা বারবার করলে আপনার গেমপ্লে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। Age of Z-তে শত্রু নির্বাচনের ক্ষেত্রে এমন কিছু সাধারণ ভুল রয়েছে যা এড়িয়ে চললে আপনি অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারবেন। প্রথম এবং প্রধান ভুল হলো নিজের শক্তিকে বেশি অনুমান করা। আমি নিজে অনেকবার আমার ক্ষমতার থেকে বেশি লেভেলের শত্রুদের আক্রমণ করে প্রচুর সৈন্য হারিয়েছি। এটা শুধু সম্পদ নষ্ট করে না, আপনার মনোবলও কমিয়ে দেয়। দ্বিতীয়ত, শত্রুর সৈন্যদের বিন্যাস না দেখে আক্রমণ করা। কিছু শত্রু আছে যারা নির্দিষ্ট ধরনের সৈন্যদের প্রতি দুর্বল, আবার কিছু আছে যারা অন্য ধরনের সৈন্যদের প্রতি শক্তিশালী। এই বিষয়গুলো না জেনে আক্রমণ করলে আপনার সৈন্যদের অকারণে ক্ষতি হতে পারে। তৃতীয়ত, পুরষ্কার বনাম ক্ষতির হিসাব না কষা। আমি তো প্রায়ই দেখি নতুন খেলোয়াড়রা বড় পুরষ্কারের লোভে আক্রমণ করে, কিন্তু পরে দেখে যে তাদের চিকিৎসা খরচ পুরষ্কারের চেয়ে বেশি হয়ে গেছে। এই ভুলগুলো এড়িয়ে চললে আপনার অভিযান আরও সফল এবং ফলপ্রসূ হবে।

에이지오브제트 적정 레벨의 적 선택 관련 이미지 2

নিজের ক্ষমতাকে বেশি অনুমান করা

এটা আমার সবচেয়ে বড় ভুলগুলোর মধ্যে একটা ছিল, বিশেষ করে যখন আমি খেলা শুরু করি। আমি প্রায়ই নিজের সৈন্যদের ক্ষমতাকে বেশি অনুমান করে বসতাম এবং নিজের লেভেলের থেকে অনেক বেশি লেভেলের শত্রুদের আক্রমণ করতাম। এর ফলস্বরূপ, আমার প্রচুর সৈন্য আহত হতো এবং তাদের সুস্থ করতে অনেক মূল্যবান সময় ও সম্পদ খরচ হতো। এটা সত্যিই হতাশাজনক যখন আপনি দেখেন যে আপনার হাসপাতাল বেডগুলো আহত সৈন্যদের দিয়ে ভর্তি হয়ে গেছে। আমার মনে আছে, একবার আমি একটা Level 20 Infected Beast-কে একা আক্রমণ করে বসেছিলাম, যখন আমার নিজের সৈন্যবল Level 15-এর মতো ছিল। ফলাফল? আমার সব সৈন্য প্রায় ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল! এই অভিজ্ঞতা আমাকে শিখিয়েছে যে, সবসময় নিজের সৈন্যদের শক্তি এবং সক্ষমতা সম্পর্কে বাস্তবসম্মত ধারণা রাখা উচিত। যদি আপনার সৈন্যরা শক্তিশালী না হয়, তাহলে তাদের উন্নত করার দিকে মনোযোগ দিন, অযথা ঝুঁকি নেবেন না। ছোট থেকে শুরু করুন এবং ধীরে ধীরে বড় শত্রুদের দিকে যান।

সৈন্যের ধরন সুবিধার উপেক্ষা করা

Age of Z-তে ইনফ্যান্ট্রি, র্যাঞ্জার এবং ভেহিকেল – এই তিন ধরনের সৈন্যদের একে অপরের প্রতি নির্দিষ্ট সুবিধা এবং অসুবিধা রয়েছে। ইনফ্যান্ট্রি সাধারণত র্যাঞ্জারদের বিরুদ্ধে শক্তিশালী হয়, র্যাঞ্জাররা ভেহিকেলদের বিরুদ্ধে এবং ভেহিকেলরা ইনফ্যান্ট্রিদের বিরুদ্ধে শক্তিশালী হয়। এই ‘রক-পেপার-সিজারস’ নীতিটা বোঝাটা খুব জরুরি। আমি দেখেছি, অনেকেই এই ব্যাপারটা সম্পূর্ণ উপেক্ষা করে এবং নির্বিচারে সৈন্যদের আক্রমণ করে। এর ফলে তারা অনেক সময় অপ্রয়োজনীয় ক্ষতির শিকার হয়। আমার অভিজ্ঞতা বলে, শত্রুকে স্কাউট করার পর যদি দেখেন তার বেসে ভেহিকেল সৈন্য বেশি, তাহলে আপনার ইনফ্যান্ট্রি সৈন্যদের বেশি করে পাঠানো উচিত। আবার যদি দেখেন র্যাঞ্জার বেশি, তাহলে ভেহিকেল পাঠান। এই সহজ কৌশলটি আপনার জেতার সম্ভাবনাকে অনেক বাড়িয়ে দেয় এবং সৈন্যদের ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনে। আমি যখন এই কৌশলটি পুরোপুরি রপ্ত করলাম, তখন আমার যুদ্ধ জয়ের হার অনেক বেড়ে গিয়েছিল। তাই, এই সৈন্যদের ধরন সুবিধার বিষয়টিকে কোনোভাবেই উপেক্ষা করবেন না।

শত্রুর ধরন লেভেলের পরিসর পুরষ্কারের ধরণ (প্রধানত) প্রস্তাবিত সৈন্য বিন্যাস বিশেষ টিপস
সাধারণ জম্বি ১-২৫ খাদ্য, তেল, EXP, সিলভার ভারসাম্যপূর্ণ (ইনফ্যান্ট্রি, র্যাঞ্জার, ভেহিকেল) শুরুতে EXP এবং প্রাথমিক সম্পদ সংগ্রহের জন্য সেরা।
Infected Beast (নেকড়ে, ভালুক) ১০-৩০ ইস্পাত, বিরল খনিজ, স্পিড আপ আইটেম নির্দিষ্ট দুর্বলতা অনুযায়ী (যেমন: ভালুকের জন্য র্যাঞ্জার) জোটের সাথে মিলেমিশে আক্রমণ করলে ভালো।
Boss জম্বি ২৫-৪০+ রেয়ার হিরো শ্যাড, সরঞ্জাম উপকরণ, মূল্যবান বুস্ট সুপরিকল্পিত আক্রমণ (সৈন্যের ধরন সুবিধা ব্যবহার) বৃহৎ জোট আক্রমণ এবং কমান্ডার দক্ষতা ব্যবহার করুন।
ইভেন্ট স্পেশাল শত্রু লেভেল ভেদে ভিন্ন ইভেন্ট পয়েন্ট, ইভেন্ট-ভিত্তিক রেয়ার আইটেম ইভেন্টের নির্দেশনা অনুযায়ী পুরষ্কার দ্বিগুণ করতে বুস্ট ব্যবহার করুন।

আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে কিছু জরুরি পরামর্শ

বন্ধুরা, এতক্ষণ তো অনেক কৌশল আর টিপসের কথা বললাম। কিন্তু আমি আমার নিজের Age of Z খেলার অভিজ্ঞতা থেকে কিছু কথা বলতে চাই, যা আপনাদের জন্য খুবই কাজে দেবে। আমি এই গেমটা অনেক দিন ধরে খেলছি, আর এই পথে অনেক ভুল করেছি, অনেক কিছু শিখেছি। আমার মনে আছে, প্রথম দিকে আমি যখন শুরু করেছিলাম, তখন এত কিছু বুঝতাম না। শুধু যুদ্ধ করতাম আর আমার বেসকে যেকোনোভাবে আপগ্রেড করার চেষ্টা করতাম। কিন্তু যখন আমি একটু গভীরে গেলাম, তখন বুঝলাম যে Age of Z শুধু মারামারি বা বিল্ডিং বানানোর খেলা নয়, এটা একটা কৌশলগত খেলা। আপনার ধৈর্য, পরিকল্পনা এবং জোটের সাথে কাজ করার ক্ষমতা – এই সব কিছু আপনার সাফল্যের জন্য জরুরি। আমি নিজে দেখেছি, যারা ছোট ছোট বিষয়গুলো নিয়ে ভাবে, তারাই শেষ পর্যন্ত গেমের বড় চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে পারে। তাই, আমার এই অভিজ্ঞতাগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করছি, যাতে আপনারাও আমার মতো ভুলগুলো না করেন এবং দ্রুত উন্নতি করতে পারেন।

ছোট থেকে শুরু করুন এবং ধীরে ধীরে বাড়ান

আপনি যদি Age of Z-তে নতুন হয়ে থাকেন, তাহলে আমার প্রথম এবং প্রধান পরামর্শ হলো – ছোট থেকে শুরু করুন। প্রথমেই বড় বড় শত্রুদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ার চেষ্টা করবেন না। আমি প্রথম দিকে এই ভুলটা করে অনেক সৈন্য এবং সম্পদ হারিয়েছিলাম। বরং, আপনার লেভেলের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ছোট ছোট জম্বি এবং শত্রুদের উপর আক্রমণ করুন। এর ফলে আপনি অভিজ্ঞতা পয়েন্ট (EXP) পাবেন, আপনার কমান্ডার লেভেল বাড়বে এবং আপনার সৈন্যরাও শক্তিশালী হবে। যখন আপনার সৈন্যদল শক্তিশালী হয়ে উঠবে, তখনই ধীরে ধীরে উচ্চ স্তরের শত্রুদের দিকে যান। আমার মনে আছে, আমি যখন প্রথমবার একটা Level 10 Infected Beast মেরেছিলাম, তখন আমি কতটা আনন্দিত হয়েছিলাম! এটা আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়াবে এবং আপনাকে শেখার সুযোগ দেবে। তাড়াহুড়ো করে কোনো লাভ নেই, ধৈর্য ধরুন এবং ধাপে ধাপে এগিয়ে যান। আপনার বেসকে মজবুত করুন এবং তারপর বড় চ্যালেঞ্জগুলো নিন।

পরাজয় থেকে শেখার গুরুত্ব

Age of Z-তে আপনি হয়তো অনেকবার হারবেন। আমিও হেরেছি, অনেকবার হেরেছি। কিন্তু প্রতিটি পরাজয়ই আমাকে নতুন কিছু শিখিয়েছে। যখন আমি কোনো যুদ্ধে হেরে যেতাম, তখন আমি বসে বসে বিশ্লেষণ করতাম – কেন আমি হারলাম? আমার সৈন্যরা কি দুর্বল ছিল? নাকি আমার কৌশল ভুল ছিল? নাকি আমি ভুল শত্রুকে বেছে নিয়েছিলাম? এই বিশ্লেষণগুলো আমাকে আমার ভুলগুলো বুঝতে সাহায্য করেছে এবং পরবর্তী যুদ্ধে আমি সেই ভুলগুলো এড়িয়ে চলতে পেরেছি। আমার মনে আছে, একবার একটা PvP (প্লেয়ার বনাম প্লেয়ার) যুদ্ধে আমি শোচনীয়ভাবে হেরে গিয়েছিলাম। তখন আমি আমার জোটের বন্ধুদের সাথে আলোচনা করেছিলাম এবং তাদের কাছ থেকে নতুন কিছু কৌশল শিখেছিলাম। পরের বার যখন সেই শত্রুর মুখোমুখি হলাম, তখন আমি তাকে হারিয়ে দিতে সক্ষম হলাম। তাই, পরাজয়কে ব্যর্থতা হিসেবে না দেখে, তাকে শেখার সুযোগ হিসেবে দেখুন। আপনার ভুলগুলো আপনাকে একজন আরও ভালো খেলোয়াড় হতে সাহায্য করবে।

Advertisement

আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে কিছু জরুরি পরামর্শ

বন্ধুরা, এতক্ষণ তো অনেক কৌশল আর টিপসের কথা বললাম। কিন্তু আমি আমার নিজের Age of Z খেলার অভিজ্ঞতা থেকে কিছু কথা বলতে চাই, যা আপনাদের জন্য খুবই কাজে দেবে। আমি এই গেমটা অনেক দিন ধরে খেলছি, আর এই পথে অনেক ভুল করেছি, অনেক কিছু শিখেছি। আমার মনে আছে, প্রথম দিকে আমি যখন শুরু করেছিলাম, তখন এত কিছু বুঝতাম না। শুধু যুদ্ধ করতাম আর আমার বেসকে যেকোনোভাবে আপগ্রেড করার চেষ্টা করতাম। কিন্তু যখন আমি একটু গভীরে গেলাম, তখন বুঝলাম যে Age of Z শুধু মারামারি বা বিল্ডিং বানানোর খেলা নয়, এটা একটা কৌশলগত খেলা। আপনার ধৈর্য, পরিকল্পনা এবং জোটের সাথে কাজ করার ক্ষমতা – এই সব কিছু আপনার সাফল্যের জন্য জরুরি। আমি নিজে দেখেছি, যারা ছোট ছোট বিষয়গুলো নিয়ে ভাবে, তারাই শেষ পর্যন্ত গেমের বড় চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে পারে। তাই, আমার এই অভিজ্ঞতাগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করছি, যাতে আপনারাও আমার মতো ভুলগুলো না করেন এবং দ্রুত উন্নতি করতে পারেন।

ছোট থেকে শুরু করুন এবং ধীরে ধীরে বাড়ান

আপনি যদি Age of Z-তে নতুন হয়ে থাকেন, তাহলে আমার প্রথম এবং প্রধান পরামর্শ হলো – ছোট থেকে শুরু করুন। প্রথমেই বড় বড় শত্রুদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ার চেষ্টা করবেন না। আমি প্রথম দিকে এই ভুলটা করে অনেক সৈন্য এবং সম্পদ হারিয়েছিলাম। বরং, আপনার লেভেলের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ছোট ছোট জম্বি এবং শত্রুদের উপর আক্রমণ করুন। এর ফলে আপনি অভিজ্ঞতা পয়েন্ট (EXP) পাবেন, আপনার কমান্ডার লেভেল বাড়বে এবং আপনার সৈন্যরাও শক্তিশালী হবে। যখন আপনার সৈন্যদল শক্তিশালী হয়ে উঠবে, তখনই ধীরে ধীরে উচ্চ স্তরের শত্রুদের দিকে যান। আমার মনে আছে, আমি যখন প্রথমবার একটা Level 10 Infected Beast মেরেছিলাম, তখন আমি কতটা আনন্দিত হয়েছিলাম! এটা আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়াবে এবং আপনাকে শেখার সুযোগ দেবে। তাড়াহুড়ো করে কোনো লাভ নেই, ধৈর্য ধরুন এবং ধাপে ধাপে এগিয়ে যান। আপনার বেসকে মজবুত করুন এবং তারপর বড় চ্যালেঞ্জগুলো নিন।

পরাজয় থেকে শেখার গুরুত্ব

Age of Z-তে আপনি হয়তো অনেকবার হারবেন। আমিও হেরেছি, অনেকবার হেরেছি। কিন্তু প্রতিটি পরাজয়ই আমাকে নতুন কিছু শিখিয়েছে। যখন আমি কোনো যুদ্ধে হেরে যেতাম, তখন আমি বসে বসে বিশ্লেষণ করতাম – কেন আমি হারলাম? আমার সৈন্যরা কি দুর্বল ছিল? নাকি আমার কৌশল ভুল ছিল? নাকি আমি ভুল শত্রুকে বেছে নিয়েছিলাম? এই বিশ্লেষণগুলো আমাকে আমার ভুলগুলো বুঝতে সাহায্য করেছে এবং পরবর্তী যুদ্ধে আমি সেই ভুলগুলো এড়িয়ে চলতে পেরেছি। আমার মনে আছে, একবার একটা PvP (প্লেয়ার বনাম প্লেয়ার) যুদ্ধে আমি শোচনীয়ভাবে হেরে গিয়েছিলাম। তখন আমি আমার জোটের বন্ধুদের সাথে আলোচনা করেছিলাম এবং তাদের কাছ থেকে নতুন কিছু কৌশল শিখেছিলাম। পরের বার যখন সেই শত্রুর মুখোমুখি হলাম, তখন আমি তাকে হারিয়ে দিতে সক্ষম হলাম। তাই, পরাজয়কে ব্যর্থতা হিসেবে না দেখে, তাকে শেখার সুযোগ হিসেবে দেখুন। আপনার ভুলগুলো আপনাকে একজন আরও ভালো খেলোয়াড় হতে সাহায্য করবে।

গল্প এখানেই শেষ নয়, বরং এটা একটা নতুন শুরুর ইশারা। Age of Z শুধু একটা খেলা নয়, এটা শেখার, কৌশল করার এবং বন্ধুদের সাথে মিলেমিশে কাজ করার একটা দারুন প্ল্যাটফর্ম। আপনারা হয়তো ভাবছেন, এত কিছু মনে রাখা কঠিন, কিন্তু বিশ্বাস করুন, একবার যখন আপনি মূল বিষয়গুলো বুঝে যাবেন, তখন এই খেলাটা আপনার কাছে আরও বেশি উপভোগ্য হয়ে উঠবে। আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, প্রতিটি ছোট ছোট জয় আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়াবে আর প্রতিটি পরাজয় আপনাকে নতুন কিছু শেখাবে। তাই, ভয় না পেয়ে স্মার্টলি খেলুন এবং আপনার বেসকে আরও শক্তিশালী করুন।

মনে রাখবেন, আপনার প্রতিটি সিদ্ধান্তই গুরুত্বপূর্ণ, এবং সঠিক শত্রুকে বেছে নেওয়া মানেই অর্ধেক যুদ্ধ জেতা। আপনার শহরকে রক্ষা করতে, সম্পদ সংগ্রহ করতে এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, আপনার বন্ধুদের সাথে চমৎকার সময় কাটাতে এই টিপসগুলো অবশ্যই কাজে লাগান। আমি সব সময় আপনাদের পাশে আছি নতুন নতুন টিপস নিয়ে। আজকের মতো এখানেই শেষ করছি, দেখা হবে পরের পোস্টে!

জেনে রাখা ভালো কিছু জরুরি তথ্য:

১. শত্রুর ধরন বুঝে আক্রমণ করুন: সব জম্বি এক রকম পুরষ্কার দেয় না। আপনার কোন সম্পদের দরকার, সেটা বুঝে সেই ধরনের জম্বিকে লক্ষ্য করুন।

২. স্কাউটিংকে গুরুত্ব দিন: কোনো শত্রুকে আক্রমণ করার আগে অবশ্যই তাকে স্কাউট করে নিন। এতে তার দুর্বলতা এবং শক্তি সম্পর্কে ধারণা পাবেন এবং আপনার সৈন্যদের ক্ষয়ক্ষতি কম হবে।

৩. জোটের সাথে কাজ করুন: একা একা বড় শত্রুদের হারানো কঠিন। জোটের বন্ধুদের সাথে মিলেমিশে আক্রমণ করুন, পুরষ্কার ভাগ করে নিন এবং একে অপরের অভিজ্ঞতা থেকে শিখুন।

৪. সৈন্যদের ভারসাম্য বজায় রাখুন: আপনার সৈন্যদলে ইনফ্যান্ট্রি, র্যাঞ্জার এবং ভেহিকেলদের একটা ভালো ভারসাম্য রাখা উচিত। এতে আপনি যেকোনো ধরনের শত্রুর বিরুদ্ধে কার্যকরী হতে পারবেন।

৫. বুস্ট এবং কমান্ডার দক্ষতা ব্যবহার করুন: শক্তিশালী শত্রুদের বিরুদ্ধে লড়াই করার সময় অ্যাটাক বা ডিফেন্স বুস্ট এবং আপনার কমান্ডারদের বিশেষ দক্ষতা ব্যবহার করতে ভুলবেন না।

গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো এক নজরে:

Age of Z-তে সফল হওয়ার জন্য শত্রুদের সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান অপরিহার্য। শুধু জম্বি মারলেই হবে না, কোন শত্রুকে মারলে আপনার বেসের জন্য সবচেয়ে বেশি উপকার হবে, সেটা বোঝা জরুরি। সাধারণ জম্বিরা EXP এবং প্রাথমিক সম্পদ দেয়, যেখানে Infected Beast বা Boss জম্বিরা বিরল খনিজ এবং শক্তিশালী সরঞ্জাম তৈরির উপকরণ প্রদান করে। আপনার সামরিক শক্তি, অর্থাৎ কম্ব্যাট পাওয়ার (CP) এবং সৈন্যদের বিন্যাস, আক্রমণের আগে ভালোভাবে বিশ্লেষণ করা উচিত। সঠিক ধরনের সৈন্যদের সঠিক অনুপাতে ব্যবহার করা, যেমন ভেহিকেলরা ইনফ্যান্ট্রিদের বিরুদ্ধে কার্যকর, তা জয়ের সম্ভাবনা বাড়ায় এবং ক্ষয়ক্ষতি কমায়।

সম্পদ আহরণের ক্ষেত্রে স্মার্ট টার্গেটিং কৌশল অবলম্বন করা উচিত। আপনার কোন সম্পদের অভাব রয়েছে, সেটা বুঝে সেই সম্পদের জন্য নির্দিষ্ট শত্রুদের লক্ষ্য করুন। নিয়মিত ইভেন্টগুলিতে অংশগ্রহণ করে বিশেষ পুরষ্কার জেতার সুযোগ হাতছাড়া করবেন না। যুদ্ধপূর্ব স্কাউটিং আপনাকে শত্রুর দুর্বলতা এবং শক্তি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা দেয়, যা আপনার অভিযানের দক্ষতা বৃদ্ধি করে। সবসময় মনে রাখবেন, পুরষ্কারের চেয়ে যেন সৈন্যদের চিকিৎসার খরচ বেশি না হয়, এই হিসাবটা কষা জরুরি।

জোটের ভূমিকা Age of Z-তে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জোটের সদস্যদের সাথে মিলেমিশে বড় লক্ষ্যগুলি আক্রমণ করা এবং পুরষ্কার ও জ্ঞানের আদান-প্রদান করা আপনার খেলার অভিজ্ঞতাকে আরও সমৃদ্ধ করে। উচ্চ-স্তরের শত্রুদের জন্য উন্নত কৌশল, যেমন কমান্ডার দক্ষতা এবং হিরো নির্বাচন, বাফ ও বুস্টের কার্যকর ব্যবহার, আপনাকে বিজয়ের পথে এগিয়ে নিয়ে যায়। নিজের ক্ষমতাকে বেশি অনুমান করা বা সৈন্যদের ধরনের সুবিধা উপেক্ষা করার মতো সাধারণ ভুলগুলো এড়িয়ে চললে আপনি Age of Z-তে একজন সফল খেলোয়াড় হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবেন।

প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন (FAQ) 📖

প্র: আমার বর্তমান সৈন্যবল এবং শক্তির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ সঠিক শত্রুর লেভেল কিভাবে নির্ধারণ করব?

উ: এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা প্রশ্ন, আর আমি জানি অনেক নতুন খেলোয়াড় এই ভুলটা করে। আসলে, সঠিক শত্রুর লেভেল নির্ধারণ করার জন্য প্রথমে আপনার নিজের সেনাদল সম্পর্কে একটা পরিষ্কার ধারণা থাকতে হবে। আপনার সৈন্যদের টিয়ার (Tier), তাদের সংখ্যা, আপনার কমান্ডারদের শক্তি এবং তাদের দক্ষতা, আর আপনার টেকনোলজি রিসার্চ কতটা এগিয়ে আছে, এগুলো সবই মাথায় রাখতে হবে। আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি, তাড়াহুড়ো করে উচ্চ লেভেলের শত্রুদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়লে লাভ তো হয়ই না, উল্টো অনেক সৈন্য হারাই। তাই আমি সবসময় পরামর্শ দিই, এমন শত্রুদের দিয়ে শুরু করুন যাদের আপনি খুব সহজে, কম বা কোনো সৈন্য না হারিয়েই হারাতে পারবেন। যুদ্ধ শুরুর আগে ‘প্রিভিউ ব্যাটেল’ (Preview Battle) অপশনটা ব্যবহার করুন, এটা আপনাকে একটা ধারণা দেবে যে আপনার কেমন ক্ষতি হতে পারে। যদি দেখেন ক্ষতির পরিমাণ খুব বেশি দেখাচ্ছে, তাহলে সেই লেভেলটা আপাতত এড়িয়ে চলুন। ধীরে ধীরে যখন আপনার সৈন্যবল এবং টেকনোলজি আরও উন্নত হবে, তখন একটু একটু করে শত্রুর লেভেল বাড়ান। আমার মনে আছে, প্রথম দিকে আমি যখন একটু বেশি লেভেলের শত্রুকে আক্রমণ করে হতাশ হতাম, তখন পরের বার থেকে আরও সতর্ক হয়ে যেতাম।

প্র: শত্রুর লেভেল নির্বাচন করার ক্ষেত্রে খেলোয়াড়রা সাধারণত কোন ভুলগুলো করে এবং কিভাবে সেগুলো এড়ানো যায়?

উ: আহারে! এই ভুলটা আমি নিজে বহুবার করেছি, আর আমার মনে হয় এটা Age of Z এর প্রায় সব খেলোয়াড়েরই প্রথম দিকের অভিজ্ঞতা। সবচেয়ে বড় ভুল হলো নিজের শক্তির অতিরিক্ত অনুমান করা। অনেক সময় আমরা ভাবি, “আরে, একটু বেশি লেভেলের শত্রু কী আর এমন কঠিন হবে?” আর এই ভুল ধারণার বশে আক্রমণ করে মূল্যবান স্ট্যামিনা, সময় আর সৈন্যদের অকারণে নষ্ট করে ফেলি। আরেকটা বড় ভুল হলো লোভ। উচ্চ পুরষ্কারের লোভে অনেকে এমন শত্রুর উপর আক্রমণ করে বসে, যেখানে তাদের সাফল্যের হার খুবই কম। এটা এড়ানোর সবচেয়ে ভালো উপায় হলো ধৈর্য ধরা। প্রতিটি আক্রমণের আগে শত্রুকে ‘স্ক্যান’ (Scan) করে তার বিস্তারিত তথ্য দেখুন। সেখানে ‘রিকোমেন্ডেড পাওয়ার’ (Recommended Power) বলে একটা অপশন থাকে, সেটা আপনার বর্তমান শক্তির সাথে কতটা মেলে তা ভালোভাবে খেয়াল করুন। যদি দেখেন রিকোমেন্ডেড পাওয়ার আপনার চেয়ে অনেক বেশি, তাহলে সেই শত্রু থেকে দূরে থাকুন। আরেকটা কথা, আপনার এলায়েন্সের (Alliance) বন্ধুদের সাথে কথা বলুন, তাদের অভিজ্ঞতা শুনুন। অনেক সময় তাদের কাছ থেকে এমন টিপস পাওয়া যায় যা আপনাকে অনেক ক্ষতির হাত থেকে বাঁচিয়ে দেয়। আমি দেখেছি, যারা ঠান্ডা মাথায় পরিকল্পনা করে এগোয়, তারাই এই গেমে শেষ পর্যন্ত সফল হয়।

প্র: শুধুমাত্র কাঁচা শক্তি (raw power) ছাড়াও Age of Z তে শত্রুদের আক্রমণ করার সময় আর কোন বিষয়গুলো বিবেচনা করা উচিত?

উ: শুধু ‘পাওয়ার’ দেখে ঝাঁপিয়ে পড়া মানেই যে আপনি জিতবেন, তা কিন্তু নয়! এটা একটা খুবই ভুল ধারণা। আমি দেখেছি, অনেক সময় কম পাওয়ারের খেলোয়াড়ও সঠিক কৌশল খাটিয়ে বেশি পাওয়ারের শত্রুকে কাবু করে ফেলে। তাই কাঁচা শক্তি ছাড়াও আরও কিছু জিনিস মাথায় রাখা খুব দরকারি। প্রথমত, আপনার সৈন্যের গঠন (troop composition) – আপনার কাছে কতজন পদাতিক (infantry), তীরন্দাজ (archer) এবং অশ্বারোহী (rider) আছে, তার একটা সঠিক ভারসাম্য থাকা চাই। একেক ধরনের শত্রুর জন্য একেক ধরনের সৈন্যদল বেশি কার্যকর হয়। দ্বিতীয়ত, আপনার কমান্ডারদের দক্ষতা এবং তাদের বিশেষ ক্ষমতাগুলো (skills) ঠিকমতো ব্যবহার করছেন তো?
সঠিক সময়ে সঠিক কমান্ডারকে ব্যবহার করা যুদ্ধের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে। তৃতীয়ত, আপনার রিসার্চ (Research) বা গবেষণা কতটা এগিয়ে আছে এবং কোন ধরনের যুদ্ধের জন্য কোন গবেষণাটা আপনার উপকারে আসছে, সেটাও দেখতে হবে। এছাড়াও, আপনার এলায়েন্সের দেওয়া বোনাস (alliance buffs) এবং গেমের চলমান ইভেন্টগুলোর (event bonuses) দিকে খেয়াল রাখুন। এই ইভেন্টগুলো অনেক সময় বিশেষ সুবিধা দেয়, যা আপনাকে কঠিন শত্রু মোকাবিলায় সাহায্য করবে। আমি নিজে সবসময় চেষ্টা করি আমার সৈন্যদলকে বৈচিত্র্যময় রাখতে এবং আমার কমান্ডারদের দক্ষতা অনুযায়ী তাদের সাজাতে। কারণ, শুধু সৈন্যের সংখ্যা বেশি হলেই জেতা যায় না, বুদ্ধির খেলাটাও এখানে সমান গুরুত্বপূর্ণ!

Advertisement
Advertisement